গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। আপনি কি জানতে যাচ্ছেন যে গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল বা খাবার খাওয়া যাবে না। তাহলে এই পোস্টি আপনার জন্য কেন না আমরা আজকের এই পোস্টে গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না সেই সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। 

গর্ভাবস্থায়-কি-কি-ফল-খাওয়া-যাবে-না

গর্ভা অবস্থায় কেমন খাবার খাওয়া উচিত। কোন ধরনের খাবার খাওয়া যাবেনা। এবং কোন কোন কাজ করা যাবে না। এইসব বিষয়ে বিস্তারিত আজকের এই পোস্টে জানাবো। গর্ভ অবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। তাহলে চলুন আজকের এই পোস্টটি শুরু করা যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না 

  • গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
  • কোন কোন ফল গর্ভ অবস্থায় খাওয়া উপকারী
  • গর্ভের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা
  • গর্ভাবস্থায় যেসব ফল খাওয়া্ ক্ষতিকর
  • ভরের হাওয়া গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারী 
  • শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না 

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। গর্ভধারণের পর প্রতিটি নারীকে অনগত সন্তানের কথা ভেবে খাবারে সচেতন থাকতে হয়। অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো গর্ব অবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে কিছু কিছু ফল গর্ব অবস্থায় খাওয়া একদম উচিত নয়। কারণ কিছু ফল গর্ভপাতেরও কারণ হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ব অবস্থায় কোন কোন ফল খাবেন না বা সাবধান হবেন না। প্রথম তিন মাসের গর্ভাবস্থা। 

গর্ভের প্রথম তিন মাস আনারস এড়িয়ে চলুন। কারণ আনারস খাওয়ার পরে জড়ায়েতে তীব্র সংশ্লেষণ হতে পারে। এর ফলস্বরূপ গর্ভপাত হতে পারে। আনারসে প্রোমেনা আইন থাকে এটি একটি এনজাইন যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। ফলে জরায়ু নরম হয়ে অকাল প্রসঙ্গে ঘটতে পারে এজন্য গর্ব অবস্থায় আনারস খাবেন না। গর্ব অবস্থায় আনারস বা পেঁপে খাওয়া যাবেনা কেননা পেপেতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকলেও এটা গর্ভ অবস্থায় খাওয়া যাবে না। 

গর্ব অবস্থায় আঙুর খাওয়া আরাম সবুজ বা কালো রঙের আঙুর এ দুটি আঙ্গুলী ক্ষতিকর। গর্ভ অবস্থায় কালো আঙ্গুলের চামড়া হজম করা অনেকটাই কঠিন। কেননা গর্ব অবস্থায় হজম প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায় এজন্য কালো আমু খাওয়া যাবে না। গর্ভা অবস্থায় অনেকই টক জাতীয় ফল খেতে ইচ্ছে করলেও কিন্তু তেতুল খাওয়া যাবে না একটু খেলেও বেশি খাওয়া যাবেনা। গর্ব অবস্থায় তরমুজ খাওয়া যাবে না তরমুজে রয়েছে তরল পদার্থ। 

কোন কোন ফল গর্ভ অবস্থায় খাওয়া উপকারী

কোন কোন ফল গর্ভ অবস্থায় খাওয়া উপকারী। গর্ভবতী হওয়ার পরে খাবার খাওয়া আরও বাড়িয়ে দিতে হয় কেননা আপনার গর্ভে থাকা সন্তান বড় হওয়ার জন্য আপনি যেগুলো খাবার খাচ্ছেন সেগুলোর প্রায় বেশিরভাগ পুষ্টি গিয়ে নিজের গর্ভে থাকা সন্তানের লাগবে। আর এজন্যই মূলত একজন মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার পরে তাকে আরো বেশি বেশি খেতে বলা হয়। তার গর্ভের সন্তানের জন্য তাকে আরও দ্বিগুণ খাবার খেতে হয়। 

একজন মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার পরে কোন কোন ফল খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। মূলত আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের গর্ব অবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া উপকারী কম্পন ফল খাওয়া যাবে না বা গর্ভবতী মায়ের চলাফেরা করার সামর্থ্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভ অবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া একজন মায়ের জন্য অনেক উপকারী। 

প্রথমেই বেদেনা গর্ভ অবস্থায় বেদেনা খাওয়া অনেক উপকারী। গর্ভ অবস্থায় অনেক রক্তের প্রয়োজন থাকে আর বেদেনা খেলে অনেক রক্ত হয়। এরপরে হচ্ছে খেজুর খেজুর কিন্তু একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। বাদামী গর্ভবতী অবস্থায় অনেক উপকারী একটি ফল হচ্ছে বাদাম গর্ভ অবস্থায় আপনি কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, মেস্তা বাদাম, চিনা বাদাম, এই বাদাম গুলো আপনি নিয়মিত সকালে খেতে পারেন অনেক উপকারী। 

গর্ভের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা

গর্ভের প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা। গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাস যা খাবেন এবং যা খাবেন না। গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাস বিশেষ করে খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়কালে ফলিক অ্যাসিড, আইরন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। গর্ভের প্রথম তিন মাস হচ্ছে বাচ্চার গঠনের সময় এ সময়ে আপনাকে খাবার মেনটেন করে চলতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী চলাফেরা করতে হবে। 

  • ফলিক অ্যাসিডঃ- নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধে ফলিক অ্যাসিড গুরুত্বপুর্ণ। এটি ভিটামিন বি ১২ - এর সাথে কাজ করে। 
  • ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলি হলোঃ - সবুজ শাকসবজি ( বিশেষ করে পালং শাক ) ডিম, ডাল, ছোলা, ফল ( আপেল, কমলা, জাম্বুরা  ) ইত্যাদি । 
  • আয়রনঃ- আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এই সময়ে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। 
  • আইরন সমৃদ্ধ খাবার গুলো হলোঃ- মাংস ( মুরগি, গরুর মাংস, ) মাছ, পালং শাক, ডিম, বাদাম ( আনন্দ কাজু ) 
  • ক্যালসিয়ামঃ- ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। 
  • ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলি হলোঃ - দুধ, দই, পনির, সবুজ শাকসবজি ( বোকলি, বাধাকপি ) টফু। 
  • ভিটামিন সিঃ- ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার হলোঃ- লেবু , কমলা, জাম্বুরা, ব্লোকলি, টমেটো স্ট্রবেরি ইত্যাদি। 
  • প্রোটিনঃ- প্রোটিন শরীরের বৃদ্ধি ও মেরামতের জন্য অপরিহার্য। 
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলি হলোঃ- ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল, টফু। 

গর্ভাবস্থায় যেসব ফল খাওয়া্ ক্ষতিকর

গর্ভাবস্থায় যেসব ফল খাওয়া্ ক্ষতিকর। গর্ভ অবস্থায় যেসব ফল খাওয়া ক্ষতিকর গর্ভ অবস্থায় কিন্তু অনেক ফল খাওয়া বা খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়ে থাকে। তবে গর্ভ অবস্থায় যেমন ফল অনেক উপকারী ঠিক তেমনি কয়েকটি ফল আছে যেগুলো গর্ব অবস্থায় খাওয়া অনেক ক্ষতিকর। এটি গর্ব অবস্থায় খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে তো চলুন সেই ফল বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া যাবে না। 

গর্ভ অবস্থায় যে কয় টি ফল খাওয়া ক্ষতিকর সেই বিষয়ে জানাব। গর্ভ অবস্থায় প্রথমত আনারস খাওয়া মায়ের জন্য অনেক ক্ষতিকর কেননা আনারসের রয়েছে ক্ষতিকর দিক যে কারণে গর্ব অবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত যে ফলটি খাওয়া গর্ব অবস্থায় ক্ষতিকর হবে। সেটি হচ্ছে তরমুজ তরমুজ গর্ব অবস্থায় খাওয়া যাবে না। তরমুজ খাওয়া কিন্তু অনেক উপকারে তরমুজ ফলটিতে অনেক উপকার রয়েছে তবে গর্ভ অবস্থায় এটি উপকারী নয়। 

গর্ভ অবস্থায় আরো যে ফলগুলো ক্ষতিকর সে ঘরের মধ্যে হচ্ছে পেঁপে। পেপেতে অনেক ভিটামিন থাকলেও এটি খাওয়া ভালো হলো গর্ব অবস্থায়। গর্ব অবস্থায় আপনি বেশি বেশি যে ফল খেতে পারবেন যেমন বেদেনা। খেলে অনেক পরিমাণে রক্ত হয় এজন্য গর্ভ অবস্থায় বেদনা খাওয়া অনেক উপকারী গর্ব অবস্থায় সব থেকে উপকারী একটি ফল হচ্ছে বাদাম কাজুবাদাম বা কাঠবাদাম বা কিনা বাদাম এই সকালের মধ্যে একটি খেলেই হবে। 

ভরের হাওয়া গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারী 

ভরের হাওয়া গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারী। গর্ব অবস্থায় আপনি যদি নিয়মিত ভোরের হাওয়া শরীরের রাগাতে পারেন তাহলে গর্বের সন্তানের অনেক উপকার হবে। ভোরের হাওয়ায় রয়েছে অনেক উপকার যেমন ভোরের হাওয়ায় নুর্মি বাতাসে গা জুড়িয়ে যায় ঠিক তেমনি আপনি যদি গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ভোরের হাওয়া সেবন করেন তাহলে অনেক ভালো ফল পাবেন। গর্ভে আপনার সন্তান অনেক সুস্থ থাকবে।
ভরের-হাওয়া-গর্ভাবস্থায়-অনেক-উপকারী

বিশেষ করে যখন গর্ভের চার মাস পেরিয়ে যাবে তখন থেকে আপনি নিয়মিত ভোরবেলা পুরো বাড়িতে চলাফেরা করবেন। এতে আপনার গর্ভের সন্তানের অনেক উপকার হবে কেননা ভোরের হাওয়া মর্মে বাতাসে গা ঠান্ডা হয়ে যায় এটি গায়ে লাগা অনেক ভালো। গর্ভের চার মাস পর থেকে সন্তান হওয়া পর্যন্ত আপনি ভোরবেলা বাসার বাহিরে হাঁটাচলা করতে পারেন বা সন্ধ্যা হওয়া কিন্তু হাঁটাচলা করতে পারেন। এতে অনেক উপকার হবে। 

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না। গর্ভবতী অবস্থায় কেমন খাবার খাবে বা কোন কোন ফল খাওয়া যাবেনা এবং কোন ধরনের ফল খাবেন। সেই সব বিষয় নিয়ে আজকের ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবং কোন ফলে কেমন ভিটামিন রয়েছে বা কোন ফল খেলে বাচ্চার সুস্থ থাকবে এই সব কিছু অনেক ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা হয়েছে আজকে এই পোস্টে। আপনি এই পোস্টটি পড়লে অনেক উপকৃত হবেন।

কেননা আমি আজকের এই পোস্টে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাস থেকে একদম সন্তান জন্ম নেওয়ার আগ পর্যন্ত কিভাবে চলাফেরা করতে হবে কোন ধরনের খাবার খেতে হবে সেইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ছোট ছোট করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এজন্য এই পোস্টটি একবার হলেও মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এবং আজকের এই পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো বা আরো এরকম বিষয়ে জানার আগ্রহ থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টিপসোহর ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url